কিস্তির টাকা শোধ করতে না পেরে শরীয়তপুরে দর্জি দোকানির আত্মহত্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আপলোড সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৮-১২-২০২৪ ০৬:৩০:২৭ অপরাহ্ন
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নে এক দর্জি দোকানির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিস্তির টাকা শোধ করতে না পারায় তিনি এই করুণ পরিণতি বেছে নেন। নিহত ব্যক্তি আজগর বেপারী (৫৫), বাহের কুশিয়া গ্রামের মৃত কালাচান বেপারীর ছেলে এবং ঘড়িষার বাজারের একজন দর্জি দোকানি ছিলেন।
আজগর বেপারী সংসারের অভাব ঘোচাতে দুই ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তিনি বিভিন্ন এনজিও থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। তবে ছেলেদের অবৈধ পথে বিদেশ পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হলে তিনি ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েন।
প্রতিদিনের চাহিদা পূরণের পর সামান্য দর্জি দোকান থেকে পাওয়া আয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। শনিবার ৫০ হাজার টাকা কিস্তি পরিশোধের সময়সীমা থাকলেও সেই টাকা যোগাড় করতে না পেরে তিনি মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
আজগরের ছেলে দিপু বেপারী জানান, "শুক্রবার দুপুরে খাবার খেয়ে বাবা বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় মনে হয়েছিল তিনি পাশের গ্রামের মেলায় গেছেন। কিন্তু সকালে খবর পাই, বাড়ির পেছনের বাগানে তার ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেছে।"
নড়িয়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আবির হোসেন বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আজগর বেপারী ঋণের চাপে ছিলেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।"
এ ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে ঋণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং পরিবারগুলোর চাপ নিয়ে ভাবার সুযোগ তৈরি করে। ঋণের ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে আরও মানবিক এবং কার্যকর সমাধান প্রয়োজন।
ঋণের চাপে পড়ে একটি পরিবারের স্বপ্নভঙ্গ এবং জীবনহানি কেবল একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, বরং এটি আমাদের সামাজিক কাঠামোর দুর্বলতাকেই নির্দেশ করে। সমাজের প্রত্যেক অংশের প্রতি সহমর্মিতা এবং কার্যকর নীতিমালা প্রয়োজন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV
কমেন্ট বক্স